চাঁদপুর ঘাট ভরা ছোট ইলিশে, বড় ইলিশের কেজি ২ হাজার টাকা

চাঁদপুর ঘাট ভরা ছোট ইলিশে, বড় ইলিশের কেজি ২ হাজার টাকা

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা ছাড়াও নোয়াখালীর হাতিয়া, ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে জেলেরা ছোট ইলিশ ধরে আনছেন। ২০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের মাছই বেশি,ছবি: Global News


ইলিশের মৌসুম প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর ১১ দিন পর শুরু হবে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান। এ সময় চাঁদপুর মাছঘাটে বড় বড় ইলিশ থাকার কথা থাকলেও গতকাল রোববার দুপুরে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট ছোট ইলিশে পুরো বাজার ভরা। এসব ইলিশ কেনাবেচার ধুম চলছে। স্থানীয় বাজার ছাড়াও সারা দেশে বাক্সবন্দী করে ক্রেতাদের ইলিশ পাঠানো হচ্ছে।


চাঁদপুর মাছঘাট বাজারের বিক্রেতারা জানান, এসব ছোট ইলিশ চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা ছাড়াও নোয়াখালীর হাতিয়া, ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে জেলেরা ধরে আনছেন। ২০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের মাছই বেশি। রোববারের বাজারে দেখা যায়, এসব ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ১৭ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা দরে। তবে অধিকাংশ আড়তে ছোট ইলিশের পাশাপাশি কিছু বড় ইলিশও দেখা গেছে। এর মধ্যে নোয়াখালী হাতিয়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রতি কেজি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ দরে। আর চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ ২ হাজার টাকায় কেজিপ্রতি বিক্রি করতে দেখা গেছে।


বাজারের পাইকার ইলিশ বিক্রেতা দেলু মিজি বলেন, রোববার তিনি ১০০ মণ ছোট ইলিশ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়েছেন। ৩ থেকে ৪টি ইলিশে এক কেজি। এগুলোর মণ প্রতি তাঁর কেনা পড়েছে ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকা দরে।

স্থানীয় বাজার ছাড়াও সারা দেশে বাক্সবন্দী করে ক্রেতাদের ইলিশ পাঠানো হচ্ছে,
ছবি: Global News

মাছঘাটের আড়তদার ও মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত বলেন, এ সময় ছোট ইলিশ থাকার কথা না। কারণ, আর ১১ দিন পর মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের অভিযান শুরু হবে। তখন চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে কোনো ধরনের মাছ ধরা যাবে না। কিন্তু প্রতিদিন বাজারে প্রচুর পরিমাণ ছোট ইলিশ দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম নেই। এতে তাঁরা অভিযানের কার্যকারিতা নিয়ে চিন্তিত।


চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর মা ইলিশ নিয়ে গবেষণা করি, সেগুলো কখন কোথায় ডিম দেয়। কোথায় কখন বড় হয়। এর ওপর নির্ভর করে এ বছরও আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। তবে বাজারে ছোট ইলিশের বিষয়ে বলব, নদীতে সব ধরনের ইলিশ আছে, তা ছাড়া অনেক জেলে কারেন্ট জাল ব্যবহারের কারণে এসব ছোট মাছ ধরা পড়ছে বলে মনে করি। এখন তো কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তারপরও আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।

Post a Comment

Previous Post Next Post